নারায়ণগঞ্জের খবর: ধর্ষণের ৫ বছর পর ধর্ষিতাকে বিয়ের প্রস্তাবে মামলা নিষ্পতি হয়েছে। মোবাইলে প্রেমের সূত্রে ২০১৫ সালে এক পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ করেন প্রেমিক শাহ আলম। এ ঘটনায় প্রেমিকা মামলা করেন। এতদিন আদালতে মামলা চলার পর প্রেমিক বলছেন তিনি ওই নারীকে বিয়ে করবেন। তাই মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু এতদিন আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করাসহ রাষ্ট্রের আর্থিক অপচয় করার কারণে ওই আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এ সময় জরিমানার টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়ে রশিদ দাখিলের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে ধর্ষকের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহীন উদ্দিন এ রায় দেন।
রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, জরিমানার টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়ে রশিদ দাখিল সাপেক্ষে আগামী ধার্য তারিখে আসামির করা আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রাকিব উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রূপগঞ্জের ভূলতা এলাকায় অবস্থিত হারভেষ্ট গার্মেন্টের এক নারী শ্রমিকের সঙ্গে একই থানাধীন ভাওয়ালিয়াপাড়া এলাকার শাহেব আলীর ছেলে শাহ আলমের (২৫) মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ সকালে বন্দর উপজেলার এস.আইচ ক্যাসটেল অ্যান্ড রিসোর্ট নামে একটি পার্কের ভেতরের কক্ষে নিয়ে দু’জনের সহযোগিতায় ওই নারীকে ধর্ষণ করেন শাহ আলম। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৭ মার্চ রূপগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই নারী।
পিপি আরও বলেন, ওই মামলায় পুলিশ তদন্ত করে শাহ আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে আদালতে সাক্ষ্য ও জেরা শেষ করে যুক্তিতর্ক শুনানি পর্যায়ে দিন ধার্য রয়েছে। এ সময় বাদীকে (ধর্ষিতা) বিয়ে করার কথা প্রকাশ করে আসামি শাহ আলম মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে আবেদন করেন। এতে আদালত গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করাসহ রাষ্ট্রের আর্থিক অপচয় করার কারণে আসামি (ধর্ষক) শাহ আলমকে জরিমানা করেন।
Leave a Reply